আমাদের দেশের মানুষদের Emotion অনেক বেশি কাজ করে। আপনার প্রোডাক্টের সঙ্গে যদি কোনো Emotion Content জুড়ে দিতে পারেন, তবে মানুষ আপনার কন্টেন্টের সাথে বেশি Connectivity তৈরি করতে পারবে। তবে আপনি বেশিরভাগ মার্কেটারদের দেখবেন, এমন একটি প্রুভেন ইফেক্টিভ মার্কেটেং স্ট্র্যাটেজি এড়িয়ে চলে। এর দুইটা কারণ থাকতে পারে- ইমোশনাল মার্কেটিং নিয়ে ইন-ডেপথ জ্ঞান নেই অথবা স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে ব্যর্থ। যাইহোক, আজকের আর্টিকেলে আমরা গভীরভাবে জানার চেষ্টা করবো, কিভাবে ইমোশনাল মার্কেটিং কাস্টমারের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের ব্রেইনকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
- Limbic Brain
- Neo Cortex Brain
Limbic Brain: ব্রেইনের এই অংশ যুক্তি দিয়ে ভাবে না। হার্ট থেকে সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে যদি Emotional Content দিয়ে সঠিক স্ট্রেটেজিতে মার্কেটিং করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সেলের বণ্যা!
আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা দৈনন্দিন জীবনে নানা জিনিসপত্র কিনে থাকি। কিন্তু পরোক্ষণে যখন আমরা একটু ভাবি, তখন প্রায় সময় অনুধাবন করতে পারি যে, ঐ জিনিসটা না কিনলেও পারতাম। মূলত এই কাজটা করেছে আমাদের Limbic Brain. প্রোডাক্ট সেল দিতে আমাদের করণীয় হলো Limbic Brain কে কন্ট্রোল নেওয়ার স্ট্র্যাটেজি ফলো করে কন্টেন্ট তৈরি করা। এতে করে কাস্টমার হার্ট থেকে ডিসিশন নিবে।
মানুষের ব্রেইন অনেক কিপ্টা, কিন্তু হার্ট অনেক ভালো। তাই এমন কন্টেন্ট তৈরি করুন, যা দেখে মানুষ হার্ট থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, ব্রেইন থেকে নয়।
Neo Cortex Brain: ব্রেইনের এই অংশটা খুব Logically চিন্তা করে। যে কারণে কোনো কিছু ক্রয় করার আগে লজিক্যালি চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। ক্রয় করার পূর্বে হিসেব শুরু করে এটা দামে লাভবান হবো কি-না, আমার জন্য এখন এটা প্রয়োজন কি-না, কোয়ালিটি ভালো নাকি খারাপ, অন্যরা কত দামে সেল দেয় সহ ইত্যাদি হিসেব-নিকাশ করা শুরু করে। আসলে আমাদের ব্রেইনের Neo Cortex Brain খুব লজিক্যালি চিন্তা করে। আপনি যেহেতু একজন মার্কেটার, সেহেতু সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন কন্টেন্টের মাধ্যমে মানুষের ব্রেইনের এই অংশকে ঘুমিয়ে রাখার। কারণ এটা জাগ্রত হলে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে কিপ্টামি শুরু করবে।
পদটিকা: কোন কিছু সিরিয়াসলি Sell দিতে হলে আমাদেরকে Limbic Brain তথা Emotional Content দিয়ে মার্কেটিং করে খেলতে হবে। নয়তো ডলার বার্ণ হবে, যথাযথ সেল আসবে না।
আশা করি Emotional Marketing নিয়ে আপনাদের কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়েছে। তারপরও যদি কোনো অংশ বোঝতে অসুবিধে হয়, কঠিন মনে হয় কিংবা নিজে বোঝেন কিন্তু কোয়ালিটি নিয়ে আসতে পারবেন না, তাহলে আমাদের সাথে কন্টাক্ট করে কন্টেন্ট কনসাল্টি সার্ভিসটি নিতে পারেন।